ডেঙ্গু জ্বরের মৃত্যু হার কম হলেও, ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ অতিআবশ্যক, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি কি করা দরকার জেনে নিন, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো জেনে নিন।
ডেঙ্গু কি ( What is dengue )?
ডেঙ্গু হল এক প্রকার মশা বাহিত রোগ। এডিস নামের বিশেষ প্রকারের মশার কামড়ের ফলে মানুষের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমন ঘটে। যার ফলে মানুষ ভয়ানক জ্বরে ভুগতে থাকে। এটাকেই ডেঙ্গু বলা হয়।
প্রতি বছর সারা পৃথিবী জুড়ে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়, যাদের মধ্যে থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় মৃতের সংখ্যা নেহাত কম! ১০০ মিলিয়ন অসুস্থে মধ্যে থেকে মাত্র ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে।
ডেঙ্গু রোগ কিভাবে ছড়ায় ( How dengue is spread )?
ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম হল মশা! এডিস নামের বিশেষ প্রকারের মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে DEN - 1,DEN - 2 এবং DEN - 3 নামের ৩ প্রকারের ভাইরাসের সংক্রমন ঘটে।
এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকে বাচ্চার শরীরে, এবং রক্ত দাতার শরীর থেকে রক্ত গ্রহীতার শরীরেও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমন ঘটে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি ( Symptoms of dengue fever ) ?
ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণ গুলো হল, প্রচণ্ড জ্বর, মাথা ব্যাথা, চোখের পিছনের দিকে ব্যাথা, নাক দিয়ে রক্ত ঝরা ইত্যাদি।
ডেঙ্গু জ্বর কিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব ( How to prevent dengue fever ) ?
ডেঙ্গু জ্বরের কোনো নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন নেই। যেহেতু ইহা মশা দ্বারা বাহিত জ্বর, তাই সাধারণ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনিও ডেঙ্গু জ্বর থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের জন্য কি কি করতে হবে?
- ফুল হাতা শার্ট এবং ফুল প্যান্ট পড়ুন।
- DEET এর মতো মশা নিরোধক ব্যবহার করুন।
- রাতে ঘুমানোর আগে মশারী ব্যবহার করুন।
- ঘরের মধ্যে মশা যাতে প্রবেশ করতে পারে, সে জন্য দরজা জানালা যথা সম্ভব বন্ধ রাখুন।
- যে সব জায়গায় জল জমে রয়েছে, সে সব জায়গা গুলো খালি করার চেষ্টা করুন।
- পুকুর বা ডোবা তে তেলাপিয়া এবং গাপ্পি মাছ ছেড়ে দিন, এই সব মাছ মশার ডিম খেয়ে নিয়ে মশার বংশ বিস্তারে ব্যাঘাতে সক্ষম।
- সন্ধ্যা বেলা এবং ভোর বেলায় বনে জঙ্গলে অথবা ডোবার ধারে যাবেন না। কারণ সন্ধ্যা এবং ভোর বেলায় সব থেকে বেশি মশার আনাগোনা দেখা যায়।
ডেঙ্গু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা ( First aid for dengue patients ):-
আপনার বাড়ী যদি ডেঙ্গু প্রবণ এলাকায় হয়, তাহলে অবশ্যই আপনার বাড়ীতে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট থাকা দরকার। জরুরীকালীন অবস্থায় ডেঙ্গু রোগীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট কাজে আসবে।
জ্বর যদি খুব বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই জলপট্টির ব্যবহার করুন এবং রোগীকে ঘন ঘন জল খাওয়াতে থাকুন।
ভালো পোস্ট কিন্তু প্রতিরোধের উপায় গুলো কি?
ReplyDeleteদুঃখিত, আমাদের পোস্টটি অসম্পূর্ণ ছিল, যেটা এখন পূর্ণ করা হয়েছে।
Deleteধন্যবাদ।