what happens if an astronaut dies in space,what happens if an astronaut floats off in space,what happens to a dead body in space,what happens if an astronaut gets sick in space,how many astronauts have died in space, dosher kotha
পৃথিবী থেকে মানুষ হিসেবে সর্বপ্রথম মহাকাশে পাড়ি জমান ইউরি গ্যাগারিন (Yuri Alekseyevich Gagarin)। তার পর থেকে নানান সময়ে মোট ৫৫০ জন বিজ্ঞানী মহাকাশে গিয়েছেন। যাদের প্রত্যেকেরই সশরীরে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারলেও মাত্র ১৮ জন বিজ্ঞানী দূর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান।যার মধ্যে ১৪ জন বিজ্ঞানীই ছিলেন NASA-র বিজ্ঞানী।
মহাকাশে যাওয়ার আগে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।তবে বলিউডের বিভিন্ন সিনেমাতে মহাকাশ নিয়ে যতোটা ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখানো হয়, বাস্তবেও অনেকটা সেরকমই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের।
মহাকাশে সর্বদাই ছোটো বড়ো পাথরের টুকরো বা asteroid ঘুরে বেড়ায়। এই সব টুকরোর আঘাতের ফলে মহাকাশচারীর Spacesuit ফুটো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই ঘটনা সচরাচর ঘটে না, কারণ মহাকাশচারীরা বেশিরভাগ সময়ই আগে থেকে সকল asteroid-এর টুকরোর অবস্থান সম্পর্কে অবগত থাকেন।
তবে যদি কোনো কারণে মহাকাশচারীর Spacesuit ফুটো হয়ে যায়, তাহলে ওই মহাকাশচারীর ১৫ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। কারণ মহাকাশে বায়ুমণ্ডল না থাকায় চাপ শূন্য হয়। যার কারণে ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফুলে ফেঁপে ওঠে। এছাড়াও শরীরের ভিতর থেকে জলীয় রস দ্রুত বাস্পাকারে বেড়িয়ে যেতে থাকে। সব শেষে মহাকাশচারী দম বন্ধ হয়ে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হয়।
তবে যদি এধরনের মৃত্যু হয় কোনো মহাকাশচারীর, তাহলে সেই মৃতদেহকে কোথায়, কিভাবে রাখা হবে সে সব ভাবনা বা এরকম পরিস্থিতির জন্য কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো না। কারণ মহাকাশে থাকাকালীন অবস্থায় আজ পর্যন্ত যতো বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের দেহাবশেষের কোনো খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ১৯৬৯ সালে, নীল আর্মস্ট্রং এবং তাঁর সহকারী বিজ্ঞানীরা যখন চাঁদে গিয়েছিলেন এবং সেখানে একটানা ২২ ঘন্টা কাটানোর পর তারা যখন পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করছিলেন, সে সময়কার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন নীল আর্মস্ট্রং দের জন্য দুটো বক্তব্য পেপার লিখে ছিলেন। যার একটাই ছিল নীল আর্মস্ট্রং দের মৃত্যু সংবাদ এবং অন্যটিতে ছিল নীল আর্মস্ট্রং দের সাফল্যের সংবর্ধনা। তবে রিচার্ড নিক্সনকে মৃত্যু সংবাদের পেপারটি ব্যবহার করতে হয় নি।
তবে বিজ্ঞানীরা এধরনের আকস্মিক দূর্ঘটনায় মৃত বিজ্ঞানীর দেহকে মহাকাশে কিভাবে রাখবেন বা মহাকাশ থেকে কিভাবে মৃতদেহকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন সে বিষয়ে বেশ কিছু সম্ভাব্য পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
কি হবে যদি মহাকাশে কোনো মহাকাশচারীর মৃত্যু হয় - What does happen if an astronaut dies in space?
পরিকল্পনা 1 - পৃথিবীর দিকে ছুঁড়ে ফেলা :-
মহাকাশে যখন কারোর মৃত্যু ঘটবে, তখন তাঁর মৃতদেহকে এটি Spacesuit-এ ভরে পৃথিবীর দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হবে। এর ফলে Spacesuit-টি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষের ফলে জ্বলে পুড়ে মৃতদেহসহ ছাই হয়ে যাবে। কিন্তু এই কাজটি মানবতার বিরুদ্ধে হওয়ায় এই পরিকল্পনা গ্রহণ যোগ্য হয়নি সকল বিজ্ঞানীর কাছে।
পরিকল্পনা ২ - Spacesuit-এ করে সংরক্ষণ করে রাখা :-
এক্ষেত্রে মৃতদেহটিকে একটা অতিরিক্ত Spacesuit-এ করে স্পেসক্রাফটের মধ্যেই সংরক্ষণ করে রাখার কথা ভাবা হয়েছে। তবে এই কাজটি করলে স্পেসক্রাফটের অন্যান্য মহাকাশচারীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হবে এবং তাদের কাজে মানসিক বিঘ্নতা সৃষ্টি হবে। এছাড়াও মৃতদেহটিতে পচন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিকল্পনাটিও বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
পরিকল্পনা ৩ - Promessa পদ্ধতি :-
এই পদ্ধতিটি সকল বিজ্ঞানীর কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।এই পদ্ধতিতে প্রথমে মৃতদেহটিকে বিশেষভাবে তৈরি একটি Spacesuit-এ করে স্পেসক্রাফটের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মহাকাশ চাপ শূন্য হওয়ার জন্য মৃতদেহ থেকে জলীয় রস বাস্পীভূত হয়ে যায়। ফলে মৃতদেহটির পচনের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
এই অবস্থায় থাকাকালীন মহাকাশের প্রবল ঠান্ডায় ( মহাকাশের গড় উষ্ণতা মাইনাস ২৭৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ) মৃতদেহটি বরফে পরিণত হয় এবং কঠিন অবস্থায় চলে আসে। এরপর মৃতদেহকে একটা যান্ত্রিক হাত দিয়ে ধরে প্রচন্ড জোড়ে ঝাঁকুনি দেওয়া হয়। এর ফলে মৃতদেহটি ছোটো ছোটো টুকরোয় ভেঙে যায়।
এই পদ্ধতিতে মৃতদেহের পচনের সম্ভাবনা কমে যায় এবং মৃতদেহটির আয়তন ও ওজন কমে যায়, ফলে দেহটিকে স্পেসক্রাফটে রাখতে বেশি জায়গার দরকার পড়ে না। এসব কারণেই এই পরিকল্পনাটি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
COMMENTS