নিজের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে অবগত হন,স্বপ্ন দেখতে অর্থ খরচ করতে লাগে ন্সময়কে ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করে নিন,বড়ো বড়ো লক্ষ্য-কে ছোটো অংশে ভাগ করুন, লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রতিটা পদক্ষেপ চিন্তাভাবনা করে এগোন ,হার স্বীকার করার সাহস থাকতে হবে।
How to Change Your Life For the Better
ধরুন, এখন আপনার বয়স ২০ বছর এবং আপনি এখন বেকার(ধরে নিন)। আপনার বয়স যখন ২৫ হবে, তখন আপনার জীবনে বয়স ছাড়া আর কি কি পরিবর্তন হতে পারে, সেটা কখনও ভেবে দেখেছেন? আচ্ছা ধরুন আপনার বয়স বেড়ে যখন ২৫ বছর হবে, তখন যদি দেখেন যে,আপনি ৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০ বছর বয়সে যে জায়গাই ছিলেন,আজও সেই একি জায়গাই আছেন, অর্থাৎ বেকার তো বেকারই রয়ে গেলেন। তাহলে তখন আপনার উপলব্ধিটা কি রকম হতে পারে, সেটা কখনও ভেবে দেখেছেন কি?Change Your Brain to Change Your Life.
আচ্ছা ধরুন, আপনার বয়স এখন ২৫ বছর। আপনি এখনও সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলেন না। তারমানে ধরে নিন, আপনি আপনার জীবনের স্বর্ণযুগ হাত ছাড়া করলেন, কারণ সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপযুক্ত সময় হল ২০ থেকে ২৫ বছরের এই বয়সটা। এই সময়টা আপনি আপনার নিজের জন্য ৮০% বিনিয়োগ করুন। তাহলে বিশ্বাস করুন, আপনার বয়স যখন বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ হবে,তখন আপনি এই ৮০% বিনিয়োগের জন্য পুরো ১০০% লাভ্যাংশ পাবেন।
তবে যে সব মানুষ জীবনে প্রত্যাশা অনুযায়ী সফল হতে পারে না, তাদের সবাই একটাই বড়ো ভুল করে।তারা বেশিরভাগই তাদের যৌবনকাল আড্ডা মেরে, ঘুরে কাটিয়ে দেই। যার কারণে এই সব মানুষকে মূলত অবসর নেওয়ার বয়সেও নতুন চাকরির সন্ধানে ঘুরতে হয়। তাই সব কিছু মাথাই রেখেই আজকের এই প্রতিবেদনে কিছু tips একত্রিত করছি। এগুলো মেনে চললে আশা করবো, বার্ধক্য বয়সে গিয়ে আর আফসোস করতে হবে না এবং শান্তিতে চিরনিন্দ্রাতে সায়িত হতে পারবেন।
How to Change Your Life for The Better
নিজের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে অবগত হন
জীবনে বড় কিছু করার কথা চিন্তাভাবনা শুরু করার আগে প্রথমে বের করতে হবে আপনি বর্তমান সময়ে কোন অবস্থায় আছেন।এটা না বুঝতে পারলে, আপনি কোনদিনই বুঝতে পারবেন না জে,আপনার প্রতিদন্দ্বীদের থেকে আপনি কতোটা পিছিয়ে আছেন বা আপনাকে নিজেকে কতোটা উন্নতি করতে হবে, সেটার ব্যাপারে অবগত হতে পারবেন না।প্রতিযোগিতার মাঠে নামার আগে নিজের দুরবলতাকে খুঁজে বের করতে যদি না পারেন, তাহলে কি ভাবে প্রতিযোগিতায় জয় লাভ করবেন? তাই নিজের জীবনে পরিবর্তন(Life Change) আনতে গেলে অবশ্যই নিজের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া জরুরি।
স্বপ্ন দেখতে অর্থ খরচ করতে লাগে না
জীবনে কখনও ছোটো স্বপ্ন দেখার মতো ভুল দ্বিতীয়বার করবেন না। কারণ সর্বদা মাথাই রাখবেন, আপনি যদি স্বপ্নে দেখেন ১০টা গাড়ির মালিক হয়ে গিয়েছেন, তবেই বাস্তবে আপনি ২টো গাড়ির মালিক হতে পারবেন। আসলে স্বপ্ন দেখতে তো কিছু খরচ করার দরকার হয় না, তাহলে বড় বড় স্বপ্ন দেখতে দ্বিধা রাখবেন না।আপনি যদি স্বপ্ন না দেখতে পারেন, তাহলে জীবনে খুব বড়ো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই সব সময় বড়ো লক্ষ্য ঠিক করুন।
সময়কে ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করে নিন
সময়কে নষ্ট না হতে দেওয়ার সব থেকে ভালো উপায় হলো, সময়কে ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করে নেওয়া। এটা করলে আপনি সময়কে খুব ভালো ভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন,কারণ সময়কে উপলব্ধি করা খুব জরুরি, না হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর যে কি ভাবে কেটে যাবে, সেটা ঘৃণাক্ষুরেও বুঝতে পারবেন না।
একটা মাসকে কতোগুলো সপ্তায় ভাগ করে নিন, প্রতিটা সপ্তায় আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিশেষ কিছু করার চেষ্টা করুন। এরপর প্রতিটা সপ্তাহকে একেকটা দিনে ভাগ করে নিন, এবং প্রতিটা দিনকে ভালভাবে কাজে লাগানোর জন্য আলাদা আলাদা ঘণ্টায় ভেঙ্গে নিন। এটা করলে, যে কোনো বড় লক্ষ্য নিমেশেই ছোটো হয়ে ধরা দেবে আপনার কাছে।
বড়ো বড়ো লক্ষ্য-কে ছোটো অংশে ভাগ করুন
আপনি জীবনের মূখ্য লক্ষ্য হিসাবে যা কিছু নির্বাচিত করেছেন, সেটাকে সহজে ছুঁতে গেলে আপনার নির্বাচিত মূখ্য লক্ষ্যকে ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করাটা খুব জরুরি। ধরে নিন, আপনি আগামী ৫ বছরের মধ্যে আপনার মূখ্য লক্ষ্যে পৌছাতে চাইছেন, তাহলে চেষ্টা করুন এই পাঁচ বছরকে আলাদা আলাদা ভাবে ৫ টা বছরে ভাগ করে নিন, এবং প্রতিটা বছরের জন্য আলাদা আলাদা গৌণ লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। এই সব গৌণ লক্ষ্য গুলোর মাধ্যমেই আপনি আপনার মুখ্য লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন খুব সহজেই।
লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রতিটা পদক্ষেপ চিন্তাভাবনা করে এগোন
বেশিরভাগ মানুষ তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। কারণ তারা উৎসাহের ঝোঁকে বেশ কিছুদিন নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে, কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই তারা নিজেদের আসল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যায়। কারণ, এই সব মানুষরা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখে না যে, তারা কি জন্য এই পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আদৌ কি তাদের এই পদক্ষেপ নেওয়ার কোন যৌথিকথা আছে কিনা। তাই সব সময় মাথায় রাখবেন প্রতিটা পদক্ষেপ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটা মাথায় রেখে আপনার এগোনো দরকার।
হার স্বীকার করার সাহস থাকতে হবে
বিশ্বাস করুন, আপনি এখন জীবিত আছেন, কিন্তু এক ঘণ্টা পর আপনি আদৌ এই অবস্থায় থাকবেন কিনা, সেটা কিন্তু হলফ করে বলা অসম্ভব। তাহলে আপনি আজ থেকে ৫ বছর পর আপনার লক্ষ্যে ১০০% পদার্পণ করতে পারবেন কিনা, সেটা নিয়ে কোনো নিশ্চিয়তা নেই। তাই সব সময় নিজেকে এমন ভাবে তৈরি রাখুন যেন, যে কোনো রকমের পরিস্থিতিকে আকপটে স্বীকার করে নিতে পারেন।
আপনার জন্য দশের কথার তরফ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা থাকল।এই প্রতিবেদনটি(How to Immediately Change Your Life for the Better) যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
আমাদেরকে ইউটিউবে অনুসরন করুন Mysterious Bangla ।
COMMENTS