আপনি প্রতিদিন কতোটা ঘুমালেন, তার উপরে নির্ভর করে অনেকটা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য গড়ে ওঠে।আপনার রোজের ব্যাস্ত দিনের কর্মসূচীর ফাঁকে সময় বের করে ঘুমানোর প্রতিদিন যথেস্থ পরিমান ঘুমেরও দরকার আছে। না হলে ঘুমের অভাবে আপনি দিনকে দিন খিটখিটে হয়ে যেতে থাকবেন, আপনার দৈনন্দিন স্ট্রেস বৃদ্ধি পাবে।
একজন মানুষের কতোটা ঘুমের দরকার হয়, সেটা ব্যাক্তি বিশেষে আলাদা আলাদা হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তির প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের দরকার আছে, তবে অন্যদিকে বাচ্চা দের ক্ষেত্রে প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমের দরকার আছে এবং একজন বয়স্ক/বয়স্কার প্রতিদিন নুন্যতম ৭ ঘণ্টা ঘুমের দরকার হয়।
প্রতিনিয়ত মানুষের পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমের দরকার আছে। ঘুম মানুষের উৎপাদনশীলতা, সংবেদনশীল ভারসাম্য, মস্তিষ্ক ও হার্টের স্বাস্থ্য, প্রতিরোধ ব্যবস্থা, সৃজনশীলতা, প্রাণশক্তি এবং এমনকি আপনার ওজনকেও প্রভাবিত করে।
আপনি প্রতিদিন কতোটা ঘুমালেন, তার উপরে নির্ভর করে অনেকটা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য গড়ে ওঠে।আপনার রোজের ব্যাস্ত দিনের কর্মসূচীর ফাঁকে সময় বের করে ঘুমানোর প্রতিদিন যথেস্থ পরিমান ঘুমেরও দরকার আছে। না হলে ঘুমের অভাবে আপনি দিনকে দিন খিটখিটে হয়ে যেতে থাকবেন, আপনার দৈনন্দিন স্ট্রেস বৃদ্ধি পাবে।
যখনই আপনার ঘুম কম হচ্ছে, তখন ভেবে নিতে পারেন যে, আপনি একটি বড় মানসিক এবং শারীরিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে চলেছেন। যার কারণে ঘুমের সকল প্রয়োজনীয়তা-কে মাথায় রেখে, সুন্দর ভাবে ঘুমানোর কিছু কার্যকরী টিপস নিচে দেওয়া থাকলোঃ-
ঘুমানোর আগে Binaural Beats শুনুনঃ-
ঘুমানোর জন্য শোয়ার পর যদি আপনার মন বার বার গভীর চিন্তাতে মগ্ন হয়ে যেতে থাকে, অথবা,ঘুমানোর সময় যদি আপনার মনঃসংযোগের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে অবশ্যই binaural beats শুনে দেখতে পারেন। ঘুমানোর জন্য বিছানায় শুয়ে, হেডফোন ব্যাবহার করে binaural beats শুনতে থাকুন। দেখবেন যে,আপনার মস্তিস্ক ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাচ্ছে, এবং ধীরে ধীরে আপনার মস্তিস্ক সকল চিন্তা ভাবনা ছেড়ে দিয়ে একজায়গায় কেন্দ্রীভূত হয়ে যেতে থাকবে। এভাবেই চলতে চলতে একটা সময়ে আপনিও গভীর ঘুমে হারিয়ে যাবেন।
প্রতিদিন সকালে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকুনঃ-
আমাদের ঘুমে সাহায্যকারী হরমোন হল মেলাটোনিন।আপনি যদি প্রতিদিন সকালে উঠে নুন্যতম ১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে দাঁড়ান, তাহলে এটি মেলাটোনিন তৈরিতে অনেক সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের "জৈবিক ঘড়ি"-কে সঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। অনেক সময় উপযুক্ত মেলাটোনিনের অভাবেও অনিদ্রা দোষ আসতে পারে। তাই প্রতিদিন সকালে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন।
শোয়ার ঘরের জানালা নিয়মিত খোলার চেষ্টা করুনঃ-
আপনি প্রতিদিন যে ঘরে ঘুমান, সেই ঘরের মধ্যে জমে থাকা কার্বন-ডাই-অক্স্যাইড বেড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ঘরের জানালা-দরজা খুলে রাখুন, এর ফলে আপনার ঘরের বায়ু থেকে দূষিত বায়ু বাইরে চলে যাবে, অন্যদিকে উপযুক্ত পরিমানে অক্সিজেন আপনার ঘরে ঢোকার সুযোগ পায়।
COMMENTS