international space station throw in sea,মহাসাগরে ছুড়ে ফেলা হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কে
বর্তমান সময় পর্যন্ত মহাকাশবিজ্ঞান যতদূর এগিয়েছে,তার একটি বিশেষ অবদান হল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। এই মহাকাশ স্টেশন ঘণ্টায় ২৮০০০ কীলোমিটার উপর দিয়ে পৃথিবী কে আবর্তন করে চলেছে।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন |
১৯৮৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট Ronald Reagan মহাকাশে একটি ভাসমান গবেষণাগার বানানোর অনুমোদন দেন NASA কে। তিনি NASA কে ১০ বছর সময় দিয়েছিলেন এই ভাসমান মহাকাশ গবেষণাগার বানানোর জন্য। কিন্তু পৃথিবী থেকে এতটা উচ্চতায় গবেষণাগার বানানো একা একটা দেশের পক্ষে বানানো অসম্ভব, তাই ঠিক করা হয়েছিল যে, শুধু আমেরিকা একাই নই, আরও তিনটি দেশ রুসসিয়া,জাপান এবং কানাডা এই কাজে সামিল হবে এবং তাদের সাথে কাজ করবে ইউরোপ মহাদেশের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ESA।
এই মহাকাশ স্টেশন গড়ে তোলার পিছনে প্রধান কারন ছিল micro-gravity বা প্রায় শূন্য অভিকর্ষ বল যুক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করা। কারন micro-gravity যুক্ত অঞ্চল বিভিন্ন ছোটো ছোটো অণুজীব ো তাদের রোগ বিস্তারের পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করার আদর্শ পরিবেশ। যার কারণে ২০১৩ সাল থেকে আমেরিকা এখানে প্রোটিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।
২০০৯ সাল পর্যন্ত এই মহাকাশ স্টেশনে মাত্র তিনজন বিজ্ঞানী এক সাথে কাজ করতে পারতো। তারপর ২০০৯ সালের পর এই মহাকাশ স্টেশনে আরও নতুন পরীক্ষাগার বানানো হয়। বর্তমানে এখানে এক সাথে ৬জন বিজ্ঞানী একসাথে কাজ করতে পারে।
কিন্তু এই ছয় জন বিজ্ঞাণী কোন কোন দেশ থেকে পাঠানো হবে সে ব্যাপারে একটা চুক্তি করা হয়েছিল।এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে, সভিয়েত রাশিয়া থেকে তিনজন বিজ্ঞানী, আমেরিকা থেকে অর্থাৎ NASA থেকে ২ জন বিজ্ঞানী এবং বাকি একজন বিজ্ঞানী জাপান অথবা কানাডা অথবা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি থেকে পাঠানো হবে। এভাবেই অদলবদল করে এতদিন পর্যন্ত প্রায় ২০০ টির বেশি বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটিয়ে এসেছে।
বর্তমান সময়ে, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে NASA জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের প্রতি আগ্রহী নই। তাই তারা এর পিছনে আর খরচ করতেও ইচ্ছুক নই। NASA এখন নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু করার কথা চিন্তাভাবনা করছে। এই প্রোজেক্ট এর নাম দেওয়া হয়েছে Artemis।
এই প্রোজেক্ট এর প্রধান লক্ষ্য মহাকাশে সাম্রাজ্য বিস্তার করা। যার জন্যই NASA বুঝতে পেরেছে যে,মহাকাশে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে গেলে আগে চাঁদে পাকাপক্ত ভাবে জনবসতি গড়ে তুলতে হবে। না হলে এটা বোঝা অসম্ভব যে, মহাকাশে থাকতে গেলে কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তাই NASA আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পিছনে আর খরচ করতে চাইছে না।
তাই মহাকাশ দূষণ কমানোর জন্য বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আনবে। কিন্তু এতো বড় আকারের বস্তুকে পৃথিবীতে নামানো কুব কঠিন। তাই তারা এটাকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার কথা চিন্তা ভাবনা করেছে। এই মহাকাশ স্টেশনে ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসের আগেই official ভাবে সকল কাজ কর্ম ও গবেষণা শেষ করা হবে এবং তারপর থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের আগে বিভিন্ন ছোটো অংশে টুকরো করে এক একটা টুকরোকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার কথা চিন্তা ভাবনা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তিতির কারনেই বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরকে বেচে নিয়েছেন এই কাজের জন্য। এর আগেও রাশিয়ার MIR নামের একটা স্পেস স্টেশনকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা হয়েছিল।
বর্তমান সময়ে, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে NASA জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের প্রতি আগ্রহী নই। তাই তারা এর পিছনে আর খরচ করতেও ইচ্ছুক নই। NASA এখন নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু করার কথা চিন্তাভাবনা করছে। এই প্রোজেক্ট এর নাম দেওয়া হয়েছে Artemis।
এই প্রোজেক্ট এর প্রধান লক্ষ্য মহাকাশে সাম্রাজ্য বিস্তার করা। যার জন্যই NASA বুঝতে পেরেছে যে,মহাকাশে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে গেলে আগে চাঁদে পাকাপক্ত ভাবে জনবসতি গড়ে তুলতে হবে। না হলে এটা বোঝা অসম্ভব যে, মহাকাশে থাকতে গেলে কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তাই NASA আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পিছনে আর খরচ করতে চাইছে না।
আরও পড়ুন- কি হবে যদি মহাকাশে কোনো মহাকাশচারীর মৃত্যু হয় - What does happen if an astronaut dies in space?কিন্তু এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে, যদি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে এই মহাকাশ স্টেশনকে নিয়ে কি করা যাবে! কারণ মানুষের তৈরি সব থেকে বড় মহাকাশে ভাসমান বস্তু হল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। এটার আকার প্রায় একটা ফুটবল মাঠের মতো এবং এটির ওজন প্রায় ৪১৭৩০৫ কিলগ্রাম। এতো বড় আকারের বস্তু পৃথিবীর চারিদিকে চিরকাল উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরপাক খাবে, এটা হতে পারে না। কারণ NASA ইতিমধ্যেই NASA পৃথিবীর lower orbit এ প্রায় ৮০০০ টার মতো ভাসমান বস্তু সনাক্ত করেছে। যে গুলোর বেশিরভাগই রকেট এর টুকরো বা ভাঙ্গা স্যাটেলাইট এর অংশ বিশেষ।
তাই মহাকাশ দূষণ কমানোর জন্য বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আনবে। কিন্তু এতো বড় আকারের বস্তুকে পৃথিবীতে নামানো কুব কঠিন। তাই তারা এটাকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার কথা চিন্তা ভাবনা করেছে। এই মহাকাশ স্টেশনে ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসের আগেই official ভাবে সকল কাজ কর্ম ও গবেষণা শেষ করা হবে এবং তারপর থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের আগে বিভিন্ন ছোটো অংশে টুকরো করে এক একটা টুকরোকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার কথা চিন্তা ভাবনা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তিতির কারনেই বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরকে বেচে নিয়েছেন এই কাজের জন্য। এর আগেও রাশিয়ার MIR নামের একটা স্পেস স্টেশনকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা হয়েছিল।
COMMENTS